ট্যাবলেটের বাজার বেড়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে একটি ভাল গতিতে। যদিও আমাদের কাছে ফোনের মতো অনেকগুলি বিকল্প নেই, তবে এই বিভাগে মডেলগুলির একটি ভাল বৈচিত্র্য রয়েছে৷ একদিকে যেমন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট আছে, ঠিক তেমনি অ্যাপল আইপ্যাড রয়েছে। অনেকে এগুলিকে একই বলে মনে করে তবে ট্যাবলেট এবং আইপ্যাডের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
আমরা নীচে এই বিষয় সম্পর্কে আরও কথা বলতে হবে. এইভাবে আপনি এই পার্থক্যগুলি সম্পর্কে আরও জানতে সক্ষম হবেন, কারণ তাদের মধ্যে অনেক উপাদান মিল থাকলেও, ট্যাবলেট এবং আইপ্যাডের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি?. এটি আপনাকে দুটি ডিভাইস সম্পর্কে আরও জানতে, তাদের কী অফার করতে হবে এবং একটি কেনার সময় কোনটি আপনার জন্য সেরা বিকল্প হতে পারে তা জানতে সাহায্য করবে৷ এই দুই ধরনের ডিভাইসের মধ্যে আমরা যে প্রধান পার্থক্যগুলি খুঁজে পাই তা আমরা আপনাকে বলি৷
ট্যাবলেট বনাম আইপ্যাড
ট্যাবলেটগুলি একটি মোবাইল ফোনের অনুরূপ ডিভাইস, যদিও একটি বড় আকারের। অনেকে ট্যাবলেট এবং আইপ্যাড উভয়কেই এক ধরনের ল্যাপটপ বলে মনে করেন। ট্যাবলেট কম্পিউটার শব্দটি এমন কিছু যা অনেক বাজারেও ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে অ্যাপল আইপ্যাডকে সংজ্ঞায়িত করতে। তাই বাজারে এই ডিভাইসগুলি বর্ণনা করা যাচ্ছে যা উপায় আছে. আপনি যদি এই শর্তগুলির মধ্যে কোনটি দেখতে পান তবে আপনি ইতিমধ্যেই জানেন যে তাদের অর্থ কী।
ট্যাবলেট এবং আইপ্যাড উভয়ই শুধুমাত্র একটি স্ক্রীন সহ ডিভাইস, কোন কীবোর্ড নেই। কিছু মডেলের কিছু শারীরিক বোতাম থাকে, যেমন হোম বোতাম, উদাহরণস্বরূপ। উভয়ই অনেক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে, তা অধ্যয়ন, কাজ, ব্রাউজ, খেলা, স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে সামগ্রী দেখা বা ফটো দেখার জন্য। অ্যাপগুলি তাদের নিজ নিজ স্টোর থেকে ডিভাইসে ডাউনলোড করা যেতে পারে, অনেকগুলি একই অ্যাপ যা ইতিমধ্যেই মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে৷
ট্যাবলেটের জন্য উপলব্ধ আনুষাঙ্গিক অনেক আছে, এছাড়াও iPads জন্য. স্টাইলাস থেকে কীবোর্ড পর্যন্ত, ডিভাইসগুলির আরও বৈচিত্র্যময় বা ভাল ব্যবহারের অনুমতি দেয়। যেহেতু আপনি যদি এটিকে কাজের জন্য ব্যবহার করতে চান, একটি কীবোর্ড যোগ করতে সক্ষম হওয়া এটিকে প্রায় একটি কম্পিউটারের মতো করে তোলে, তাই আপনি এটিকে আরও উত্পাদনশীলভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
অপারেটিং সিস্টেম
ট্যাবলেট এবং আইপ্যাডের মধ্যে একটি পার্থক্য হল তারা যে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে. আপনি জানেন, iPads হল এমন ডিভাইস যা অ্যাপল বাজারে লঞ্চ করে এবং সেইজন্য কোম্পানির নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে। বহু বছর ধরে, এই আইপ্যাডগুলি তাদের অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে আইওএস ব্যবহার করেছে, একইটি আইফোনগুলিতে ব্যবহৃত হয়৷ যদিও বছর দুয়েক আগে আইপ্যাডএস রিলিজ হয়েছিল। এটি নতুন অপারেটিং সিস্টেম, যা iOS এর একটি সংস্করণ যা ডিভাইসগুলির জন্য আরও বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে৷ অতএব, এই ক্ষেত্রে নতুন ফাংশন এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা আপনাকে এটি থেকে সর্বাধিক সুবিধা পেতে দেয়৷
ট্যাবলেটের ক্ষেত্রে, অ্যান্ড্রয়েড প্রধান অপারেটিং সিস্টেম যে আমরা নিজেদেরকে একই মধ্যে খুঁজে পাই অ্যান্ড্রয়েডের নির্দিষ্ট সংস্করণটি এমন কিছু যা মডেলগুলির মধ্যে পরিবর্তিত হবে, যেহেতু প্রতিটি ব্র্যান্ড বাজারে বিভিন্ন ট্যাবলেট লঞ্চ করে এবং তারা সর্বদা সাম্প্রতিক সংস্করণ ব্যবহার করে না। অন্তত একই গতিতে নয় যা ফোনগুলি করে। অ্যান্ড্রয়েডে হাই-এন্ড মডেলগুলি সর্বশেষ সংস্করণগুলি ব্যবহার করে, অন্যরা পুরানো সংস্করণগুলি ব্যবহার করতে পারে, তবে এটি তাদের দামে অনেক কম করতে সহায়তা করে, উদাহরণস্বরূপ।
উপরন্তু, প্রতিটি ব্র্যান্ড প্রতিটি ট্যাবলেটে তার কাস্টমাইজেশনের স্তর প্রয়োগ করে. সুতরাং মডেলের উপর নির্ভর করে আমরা এতে কিছু ভিন্ন ফাংশন বা অ্যাপ থাকতে পারি। এই ক্ষেত্রে একাউন্টে নেওয়া আরেকটি দিক। যেহেতু এমন ব্র্যান্ড রয়েছে যেগুলি ট্যাবলেটগুলি উপস্থাপন করে যেগুলি কাজ করার জন্য আরও ভিত্তিক, উদাহরণস্বরূপ, এবং এতে ফাংশন, অ্যাপ বা আনুষাঙ্গিক রয়েছে যা এটিকে সেই দিকটিতে আরও ভাল পারফরম্যান্স দেয়৷
দাম
ট্যাবলেট এবং আইপ্যাডের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য হল দাম। অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেটগুলি আমাদের কাছে বিভিন্ন ধরণের ব্র্যান্ড এবং মডেল সহ, সমস্ত রেঞ্জ বা বাজারের অংশে বিকল্পগুলির সাথে রেখে যায়৷ তাই আমরা দেখা করি যে মডেলগুলির দাম 100 ইউরোর কম হতে পারে কিছু ক্ষেত্রে সবচেয়ে পরিমিত পরিসরে এবং সবচেয়ে উন্নত ট্যাবলেটের দাম সহজেই 800 এমনকি 900 ইউরো ছাড়িয়ে যায়। তাই একটি খুব বিস্তৃত মূল্য পরিসীমা আছে. তাই সব ধরনের বাজেটের ব্যবহারকারীরা তাদের বাজেটের সাথে মানানসই ট্যাবলেট কিনতে বা খুঁজে পেতে সক্ষম হবেন। এটি অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেটগুলির মধ্যে একটি প্রধান পার্থক্য বা সুবিধা।
আইপ্যাড হল এমন মডেল যা সাধারণত বাজারে উচ্চতর বিভাগে অবস্থিত। নির্বাচিত মডেলের উপর নির্ভর করে, দাম সহজেই 600 ইউরো ছাড়িয়ে যায় এবং আইপ্যাড প্রো, অ্যাপল রেঞ্জের মধ্যে সবচেয়ে উন্নত, এটির দাম 1.000 ইউরো ছাড়িয়ে গেছে, এই ক্ষেত্রে. তাই এই অপারেটিং সিস্টেম বা এর বৈশিষ্ট্যগুলি পেতে যে ব্যবহারকারীরা বেশি অর্থ প্রদান করেন তাদের জন্য এই ডিভাইসগুলি উচ্চ বাজারের অংশে ফোকাস করে৷
অ্যাপল আমাদেরকে একটি সাধারণ আইপ্যাড, আইপ্যাড প্রো এবং আইপ্যাড এয়ার (সাধারণত সবচেয়ে সস্তা) দিয়ে দেয়। এগুলি এমন ডিভাইস যা অনেক ক্ষেত্রে এমন ব্যবহারকারীর লক্ষ্য করে যারা এগুলিকে কাজের পাশাপাশি অবসরের জন্য ব্যবহার করতে চায়। অনেক অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেটে থাকাকালীন, ব্যবহারকারীরা হ্যাংআউট করার জন্য, ছুটি কাটাতে বা এতে সামগ্রী দেখার জন্য একটি ট্যাবলেট খুঁজছেন। পেশাদার ব্যবহারের লক্ষ্যে এমন মডেল রয়েছে, তবে অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট নির্বাচনের মধ্যে সেগুলি সবচেয়ে ব্যয়বহুল।
আপডেট
এটি ট্যাবলেট এবং আইপ্যাডের মধ্যে একটি প্রধান পার্থক্য, যদিও এটি মডেলের উপর অনেক নির্ভর করে। অ্যাপল এমন একটি ব্র্যান্ড যা তার ডিভাইসগুলিতে কয়েক বছরের আপডেটের গ্যারান্টি দেয়, সাধারণত পাঁচ বছর পর্যন্ত সমর্থন. সুতরাং আপনি এই সময়ের মধ্যে OS এবং নিরাপত্তা আপডেট উভয়ই পেতে যাচ্ছেন। এটি এই মডেলটিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যবহার করার অনুমতি দেয়, এমন কিছু যা অনেক ক্ষেত্রে এর উচ্চ মূল্যকে ন্যায্যতা দিতে পারে।
অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেটগুলি বেশিরভাগ দ্বারা সমর্থিত ক্ষেত্রে, যদিও এটি এমন কিছু যা মূলত ট্যাবলেটের ব্র্যান্ড এবং এটি যে অংশের সাথে সম্পর্কিত তার উপর নির্ভর করবে। অন্য কথায়, স্যামসাং-এর মতো ব্র্যান্ডগুলি তাদের অনেক ট্যাবলেট, বিশেষ করে তাদের ক্যাটালগের সবচেয়ে উন্নত মডেলগুলির জন্য তিন বছর পর্যন্ত সমর্থন দেয়৷ কিন্তু কম পরিসরের মধ্যে মডেল, বিশেষ করে অল্প-পরিচিত ব্র্যান্ডের সেই সস্তা ট্যাবলেটগুলি সাধারণত আপডেট পায় না বা প্রত্যাশিত বা কাঙ্খিত সময়ের চেয়ে অনেক দেরিতে আসে না।
তাই সমর্থন সব ব্যবহারকারীদের জন্য একটি গ্যারান্টি নয় একটি অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট সহ। যদিও ব্র্যান্ড এবং মডেলের মধ্যে এই পার্থক্যগুলি উল্লেখযোগ্য কিছু। এমন ব্যবহারকারীরা আছেন যারা সিস্টেমে, তাদের কাস্টমাইজেশন বা সুরক্ষা স্তর উভয়েরই প্রচুর আপডেট পেতে চলেছেন, অন্যদের কাছে খুব কমই আপডেট থাকবে বা একেবারেই নেই। তাই অ্যান্ড্রয়েডের অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ট্যাবলেট কেনার সময় এটি মাথায় রাখতে হবে।
অভিনয়
এটি এমন কিছু যা আমরা ইতিমধ্যে পূর্ববর্তী বিভাগে উল্লেখ করেছি। একটি ট্যাবলেট এবং একটি আইপ্যাডের মধ্যে পারফরম্যান্সে একটি বড় পার্থক্য রয়েছে, যদিও এটি আপনার ট্যাবলেটটি যে বাজারের অংশের সাথে সম্পর্কিত তার উপর নির্ভর করে৷ আইপ্যাড হল উচ্চ পরিসরের মডেল, তাই তারা একটি ভাল পারফরম্যান্স দিয়ে সবসময় আমাদের ছেড়ে চলে যায়। তারা উন্নত প্রসেসর ব্যবহার করে (অ্যাপল সাধারণত প্রতি বছর একটি নতুন চালু করে), একটি অপারেটিং সিস্টেম ছাড়াও ডিভাইস থেকে সর্বাধিক সুবিধা পাওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
আমরা আগেই বলেছি, অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেটের ক্ষেত্রে সবকিছুই আছে। আমরা যদি পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে আইপ্যাডের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এমন একটি ট্যাবলেট চাই তবে আমাদের এই বাজারের উচ্চ প্রান্তে যেতে হবে। Samsung এর মতো ব্র্যান্ডগুলি নিয়মিত এই বিভাগে মডেলগুলি লঞ্চ করে, যা আমাদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেয় এবং এই বিষয়ে আইপ্যাডকে হিংসা করার কিছুই নেই৷ যদিও এই ধরনের ট্যাবলেট বাজারে সংখ্যালঘু।
বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেটগুলি মধ্য-পরিসরে বা নিম্ন-এন্ডের. সুতরাং তারা আইপ্যাডে আমাদের মতো একই পারফরম্যান্স দিতে যাচ্ছে না, তবে অনেক ক্ষেত্রেই তারা এমন ডিভাইস যা অবসর ব্যবহারের দিকে বেশি ভিত্তিক। অন্য কথায়, এগুলি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে আমরা মাল্টিমিডিয়া সামগ্রী, স্ট্রিমিং সামগ্রী দেখতে, গেম খেলতে বা ব্রাউজ করতে সক্ষম হব। অনেক ক্ষেত্রে, এগুলি এমন ডিভাইস যা ব্যবহারকারীরা যখন তারা ভ্রমণে যেতে চায় তখন কেনেন, যেহেতু এইভাবে তারা তাদের মেল চেক করতে, ব্রাউজ করতে বা খেলতে পারে, কিন্তু উদাহরণস্বরূপ, ল্যাপটপ ছাড়াই৷
পারফরম্যান্সের এই পার্থক্যগুলি এমন কিছু যা দামের উপর প্রভাব ফেলবে।. লো-এন্ড বা মিড-রেঞ্জ অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেটগুলির কার্যক্ষমতা কম হতে চলেছে, সেগুলি কম শক্তিশালী, তবে সেগুলি সস্তাও৷ আপনি যদি একটি শক্তিশালী ট্যাবলেট খুঁজছেন, কারণ আপনি এটি কাজের জন্য ব্যবহার করতে চান, তাহলে আপনাকে একটি উচ্চতর বাজার বিভাগে যেতে হবে, তাই দাম বেশি হবে।